ভারতের উত্তর-পশ্চিম অংশে অবস্থিত রাজস্থান 'বর্ণময় ভূমি' হিসাবে পরিচিত। ভারতের প্রাচীনতম গিরিশ্রেণী আরাবল্লী দ্বারা বেষ্টিত, থর মরুভূমি অঞ্চলে ১৩২,১৪০ বর্গ মাইল এলাকা জুড়ে অবস্থিত, রাজস্থান ভারতের একটি বৃহত্তম রাজ্য। রাজস্থান, রাজপুত বংশ দ্বারা শাসিত ছিল এবং রাজপুতরা তাদের যুদ্ধ বীরত্ব এবং সাহসিকতার জন্য পরিচিত ছিল। ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত এই স্থানটিতে ইতিহাস, পুরাকথা, শৌর্য, প্রণয় ও তার সাথে রূক্ষ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একটি আকর্ষণীয় সংমিশ্রণ ঘটেছ। অনেক দেশীয় রাজ্যে বিভক্ত এই স্থানের একটি গৌরবময় অতীত রয়েছে এবং এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের সাহস ও বীরত্বের কাহিনী ভারতীয় ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে বিবেচিত হয়ে থাকে।
এখানকার মহারাজাদের চমৎকার রাজত্ব এবং তাদের দুর্গ ও প্রাসাদের জন্য রাজস্থানকে "রাজাদের ভূমি" হিসাবেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। রাজস্থান- জঙ্গল, বাঘ, দ্যুতিময় গহনা, প্রাণবন্ত শিল্প এবং স্পন্দনশীল সংস্কৃতির জন্যও সুপরিচিত। রাজস্থান ভ্রমনকালে আপনি এখানকার সৌন্দর্য এবং রাজকীয়তাকে অনুভব করতে পারবেন।
রাজস্থানে পৌঁছানোর উপায়
এই রাজ্যটি কিংবদন্তী এবং পৌরাণিক ইতিহাসের মধ্যে প্লাবিত রয়েছে। এখানকার অসামান্য দূর্গ ও প্রাসাদ এবং রাজকীয় ঐতিহ্য ও রাজকীয় সাহসিকতার নির্দশন রাজস্থানকে ভারতের অন্যতম পর্যটনস্থল হিসাবে পরিচিত করেছে।
বিমান মাধ্যমে :
এই রাজ্যের তিনটি প্রধান বিমানবন্দর হল জয়পুর, উদয়পুর এবং যোধপুর।
এই রাজ্য থেকে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিমানসংস্থাগুলি নিয়মিত বিমান চালনা করে দিল্লি মুম্বাই এর মত দেশের প্রধান শহরগুলিকে সংযুক্ত করেছে। আপনি যদি দিল্লি থেকে রাজস্থান প্রবেশ করার পরিকল্পনা করেন তাহলে জয়পুর হল সবচেয়ে সুবিধাজনক প্রবেশপথ, অন্যদিকে মুম্বাই থেকে সবচেয়ে সুবিধাজনক প্রবেশপথ হল উদয়পুর।
রেল মাধ্যমে :
রাজস্থানে একটি ভাল রেলওয়ে সংযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। এই রাজ্যের প্রধান রেলওয়ে স্টেশন জয়পুর, যোধপুর, আজমের, উদয়পুর ভারতের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলির সাথে সংযুক্ত রয়েছে। রাজস্থান পৌঁছানোর ভাল উপায় এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হলে আপনাকে “প্যালেস অন হুইলস্” নামক বিলাসবহুল পর্যটক ট্রেনে ভ্রমন করতে হবে যেখানে আপনি অবিশাস্য রাজকীয় দ্যুতির অনুভূতি লাভ করতে সক্ষম হবেন। এই রাজ্য সম্প্রতি “হেরিটেজ অন হুইলস্” নামক আরেকটি পর্যটক ট্রেন চালু করেছে এবং এখানেও আপনারা একটি বড় পরিসরে রাজকীয় ঐতিহ্যের আকর্ষণীয় ঝলক পরিলক্ষিত করতে পারেন।
সড়ক মাধ্যমে :
জাতীয় এবং রাজ্য মহাসড়কের একটি সংযোগব্যবস্থা ব্যাপকভাবে এই রাজ্য জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে এবং যে কেউ খুব সহজেই সড়ক পথের মাধ্যমে রাজস্থান পৌঁছতে পারে। দিল্লি থেকে জয়পুর, চিত্রবৎ সড়কপথ বরাবর মাত্র ৫ ঘন্টায় পৌঁছানো যায়। তাই বেশীরভাগ পর্যটক সড়ক মাধ্যমে রাজস্থান ভ্রমন করতে পচ্ছন্দ করেন।
রাজস্থানের পরিদর্শনমূলক স্থান
আয়তনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজস্থান হল ভারতের একটি বৃহত্তম রাজ্য এবং এটি দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যটকদের কাছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটক গন্তব্যস্থলগুলির মধ্যে একটি। রাজস্থান তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সোনালি মরুভূমির সাথে সাথে ঐতিহাসিক দূর্গ এবং প্রাসাদ, শিল্প ও সংস্কৃতির জন্যও সুপরিচিত। এই রাজ্যটিও স্বর্ণ ত্রিভুজের একটি অংশ যেটি দিল্লি ও আগ্রা শহরকে সংযুক্ত করেছে।
ভারতে আগত এক তৃতীয়াংশ বিদেশী পর্যটক, পর্যটন সমৃদ্ধ রাজ্য রাজস্থান পরিদর্শন করে থাকেন। জয়পুরের প্রাচীন প্রাসাদ, উদয়পুরের সুন্দর এবং রোমান্টিক হ্রদ, জয়সলমীরের মরুভূমি এবং বালিয়াড়ি, মাউন্ট আবুতে জৈন মন্দির, পুষ্করে রঙিন গবাদি পশুদের মেলা, এবং যোধপুরের বিশাল উমেদ ভবন প্রাসাদ হল কয়েকটি নাম যেগুলি এই রাজ্যে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছে এবং রাজস্থানের মোট দেশজ উৎপাদনের ৮০ শতাংশ এই পর্যটনের মাধ্যমে সংগৃহীত হয়ে থাকে। পর্যটন, পরিষেবার ক্ষেত্রে এখানে কর্মসংস্থানেরও সুযোগ বৃদ্ধি করে থাকে।
প্যালেস অন হুইলস্ এবং রয়্যাল্ রাজস্থান অন হুইলস্ নামক দুটি বিলাসবহুল পর্যটক ট্রেনের মাধ্যমে আপনি এই রাজ্যের চমৎকার অন্বেষণ করতে পারেন।
রাজস্থানের দর্শনীয় স্থান
জয়সালমের দূর্গ
নাক্কি হ্রদ
সিলিসার হ্রদ
পদ্মিনী প্রাসাদ
বিড়লা তারামণ্ডল
ব্রহ্মা মন্দির
পাটোয়া প্রাসাদ
পিছলা হ্রদ
তারাগড় দূর্গ
বিজয় স্তম্ভ
সুখ মহল
অ্যালবার্ট হল যাদুঘর
আম্বের দূর্গ
সিটি প্যালেস
গালতা মন্দির
হাওয়া মহল
যন্তর মন্তর
কুম্ভলগড় দূর্গ
মেহরানগড় দূর্গ
রণথম্ভোর জাতীয় উদ্যান
সরিস্কা জাতীয় উদ্যান
বাঁদেশ্বর মন্দির
রানী সতী মন্দির
জল মহল
Contact For More Information.
TAT Travel & Tourism
TARC NO: (0006913) Ministry Of Civil Aviation & TourismHouse No. 15/ka (2nd Floor), Shyamoli, Mirpur Road,
Dhaka-1207, Bangladesh
Call: +8801619302222
E-mail: support@ticketalltime.com
Web: http://ticketalltime.com
0 comments:
Post a Comment